Main » 2013»March»7 » বাংলাদেশীদের সাথে চায়নিজদের বৈষম্যমূলক আচরণ
11:03 AM
বাংলাদেশীদের সাথে চায়নিজদের বৈষম্যমূলক আচরণ
- আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছি পাকিস্তান থেকে তারপরও একরকম জোর করে
চায়নীজরা আমাদেরকে পাকিস্তানি বলে। চায়নার সাথে যেহেতু পাকিস্তানের
সম্পর্ক ভালো তাই তারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি আজ পর্যন্ত।
- আমাদের ধর্ম নিয়ে জোর খাটিয়ে অবমাননা করা হয়।
- তারা আমাদের গায়ের রং তাদের থেকে কালো বলে আমাদেরকে ছোটলোকের মত আচরণ
করে। অপেক্ষাকৃত আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে সচ্চল নয় বলে, আমাদেরকে সবসময়
অবজ্ঞা করা হয়, এবং অবহেলার চোখে দেখা হয়।
- তারপর গোয়াংডং প্রদেশেবাসীরা কথা বলে গোয়াংডং ভাষায় (ক্যান্টনিজ), তাই
তাদের সাথে চায়নিজ বা স্ট্যান্ডার্ড চায়নিজ ভাষায় কথা বললে আমাদের দেশ ও
জাতিকে অবমাননা করে বিভিন্ন নিচু কথা বলে থাকে।
- আমাদের দেশ অর্থনৈতিক ভাবে সচ্চল নয় বলে আমাদেরকে খুবই নিচু চোখে দেখা হয়।
- চায়নিজদের মধ্যে ৯০% চায়নিজ বাংলাদেশীদের সাথে এই ধরনের আচরণ করে থাকে।
- তারা আমাদের সংস্কৃতিকে হেয়প্রতিপন্ন করে থাকে যাচ্ছেতাই ভাবে।
এই কারণে আমরা বাংলাদেশীরা দিন দিন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ছি এবং মানসিকভাবে
দূর্বল হয়ে পড়ছি। আমরা আমাদের সঠিক দক্ষতা প্রয়োগ করতে পারি না। আমারা
আমাদের যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হই।
চায়নিজরা আমাদের সাথে পদে পদে বিরাট বৈষম্য করে থাকে। আমরা চাই আমাদের এই
বিষয়গুলো বাংলাদেশ সরকার, চায়নীজ সরকার, চায়নাতে অবস্থিত বাংলাদেশ এম্বেসী
সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের সাথে যে বৈষম্য তা দূর করবে।
আমাদের পরিচয় যদি বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয় তাহলে তারা জোরপূর্বক
আমাদেরকে ভিন্ন কোনো দেশের মানুষ বলবে এবং প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের উল্টো
মারতে উদ্যত হয়।
এখানে চায়নাতে কোনো বাংলাদেশী মারা গেলে তার বিচার ত দূরে থাক তারা কোনো
প্রকার সঠিক তদন্ত করে না কারন আমাদের রাষ্ট্র ছোট বলে এবং এটা একরকম
অবজ্ঞা করেই করা হয়ে থাকে।
ছোট রাষ্ট্র, কালো রং, মুসলমান হলে কি অপমানিত হতে হবে?
আমেরিকানরা যদি চায়নাতে আইন তৈরি করাতে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না,
আমেরিকানদেরকে চায়নিজরা 'লাও ওয়াই' অর্থাৎ বৃদ্ধ বিদেশী বলত , সাধারণত
যেকোনো বিদেশী অধিক সময় নিয়ে চায়নাতে অবস্থান করলে সাধারণত চায়নীজরা যা বলে
থাকে, যা কিনা আমেরিকানদেরকে উত্তেজিত করত ফলে আমেরিকান এম্বেসী থেকে
রিপোর্ট করা হয়, এবং পরবর্তীতে চায়নিজ সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে, কোনো
চায়নিজ যাতে কোনো আমেরিকানকে ‘লাও ওয়াই’ না বলে, কিন্তু চায়নাতে আমাদের
জন্য কোনো আইন অনুসরণ করা হয় না। অথচ চায়নার আইন অনুসারে কোনো চায়নিজ
বিদেশীদের সংস্কৃতি, ধর্ম, জাতি, বিদেশীদের সাথে কোনো প্রকার বর্ণবাদী আচরণ
করতে পারবে না, তারপরও চায়নিজরা আমাদের সাথে তাদের নিজেদের দেশ বলে
বিভিন্ন জায়গাতে উপরোক্ত বৈষম্যমূলক আচরনগুলো করে থাকে। আমরা চায়নিজদের
সংস্কৃতি, দেশকে, তাদের ধর্মকে যতই সম্মান করি না কেন তারা আমাদের সাথে
তারপরও অপমানসূচক, আমাদের দেশের জন্য অবমাননামূলক এবং আমাদের ধর্মের প্রতি
অবমাননামূলক আচরণ করে এবং আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে থাকে, কেউ কি এই
ব্যাপারে আমাদের জন্য কথা বলবে না?
এইসব বৈষম্যমূলক আচরণ যদি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অথবা কোনো যথার্থ কতৃপক্ষকে
রিপোর্ট করা হলে তারা এই ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে, কোনো প্রকার ব্যাবস্থা
গ্রহণ করে না যা কিনা আরেকটি বৈষম্যমূলক আচরণ।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের এম্বেসী, বাংলাদেশ এম্বেসীকে যদি কোনো
অভিযোগ করা হয় তাহলে তারা উল্টো আমাদের সাথে চরমভাবে খারাপ আচরণ করে এবং
আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করতে অনীহা প্রকাশ করে।
আমরা কি বাংলাদেশী হয়ে বিদেশে এসে কোনো অপরাধ করলাম? এটা কি আমাদের অপরাধ? তাহলে আমরা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে অপরাধ করলাম?